From: আসাদুজ্জামান
Subject: বিষয়ঃ না বলে কার কাছ থেকে টাকা নিলে তার হুকুম কি?
Message Body:
আমার প্রশ্ন হচ্ছে এক লোক একটি দোকানে চাকরি রত অবস্থায় সে অনেক গুলি টাকা মালিক কে না বলে নিয়ে গেছে। এখন প্রশ্নটা হচ্ছে সেই লোকটা বলছে আমি যেই টাকা গুলি তার কাছ থেকে নিয়েছি মম্পুর্ন টাকা ফেরত দিয়ে দিবে যেই লোকটা এই কাজটা করছে সেউ অপারগ হয়ে মানুষ তার কাছে অনেক টাকা ঋণ পাইতো সে এই টাকা দিয়ে সুধীঋণ বা অন্য ঋন পরিশোধ করছে।
এখন সে,যেই টাকা গুলি ব্যবহার করলো এই টাকা গুলি সম্পর্কে আপনি আমাকে বিস্তারিত জানাবেন।
প্রশ্নকারী হয়তো এটা বুঝাতে চেয়েছেন যে, কোন ব্যাক্তি সুদি ঋন এর দায়বদ্ধতায় অপারগ হয়ে এক পর্যায়ে নিজের দোকানের মালিক থেকে তার অগোচরে টাকা আত্মসাৎ করেছে। এবং টাকাগুলি দ্বারা তার পাওনা মিটিয়েছে। এখন তার কি করনীয়?
যদি প্রশ্ন এমনই হয়ে থাকে তবে আলোচ্চ প্রশ্নে কয়েকটি দিক বিবেচনা যোগ্য:
১. বর্তমানে আত্মসাৎকারী উক্ত টাকা মালিককে ফেরত দিতে সামর্থবান কিনা?
২. যদি সামর্থবান হয়ে থাকেন সে ক্ষেত্র এককালীন পরিশোধে সক্ষম, নাকি ধাপে ধাপে ?
৩. যদি সরাসরি মালিকের হাতে ফেরত দেওয়া হয় তবে বিষয়টি আরো খারাপ দিকে যাবে কিনা? যেমনটি আত্মিয়তার সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক সময় হয়ে থাকে।
উপরেল্লিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা পূর্বক সে যদি আত্মসাৎকৃত সম্পদ এককালীন মালিকের হাতে প্রদান করতে সক্ষম হয় তবে এটা সর্বত্তম পদ্ধতি। অন্যথায় অন্য কারো মাধ্যমে মালিকের মালিকানায় পৌছে দেওয়াতেও যথেষ্ট হয়ে যবে। চুরি বা আত্মসাৎ এর বিষয়টি গোপন রেখে হাদিয়া উপঢৌকন এর নামেও ফেরৎ দিলে সে আখেরাতে এই দায়বদ্ধতা থেকে পরিত্রান পাবে।
তবে যদি আত্মসাৎকৃত সম্পদ এককালীন মালিকের হাতে প্রদান করতে সক্ষম না হয় তবে তাৎক্ষনিক ভাবে মালিককে সম্পূর্ন বিষয়টি জানিয়ে ক্ষমা প্রাথনা পূর্বক পরবর্তিতে পরিশোধের অবকাশ নিতে হবে। কেননা এই অবস্থায় যদি দুজনের কোন এক জনের ইন্তিকাল হয়ে যায়ে তবে হাশরের ময়দানে মামলা আরো ভয়াবহ হয়ে যাবে। নবী করীম সা: এরশাদ করেন-
صحيح البخاري (3/ 129)
عن أبي هريرة رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من كانت له مظلمة لأخيه من عرضه أو شيء، فليتحلله منه اليوم، قبل أن لا يكون دينار ولا درهم
যে কোন বেক্তির উপর তার অপর ভাইয়ের কোন প্রকার দায়বদ্ধতা আছে যে যেন আজকেই তা নিষ্পত্তি করে নেয়, সে দিন আসার আগে যেদিন টাকা পয়সা দিয়ে কোন দায় এড়ানো যাবেনা।
আর যদি সে এই সম্পদ পরিশোধে একেবারেই অপারোগ হয় তবে নিজের অপারগতা উল্লেখ পূর্বক উভয়ের মাঝে কোন একটি মিমাংসার মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি ঘটাবে। যেমন- আত্মসাৎকৃত অর্থ পরিমান শ্রমের বিনিময়ে সে মালিকের সাথে চুক্তি করতে পারে বা তার বেতন থেকে ধীর ধীরে ওই পরিমান অর্থ কেটে নেওয়া হবে ইত্যাদী।
মোটকথা সর্বাবস্থায় তাকে উক্ত সম্পদের দায়বদ্ধতা থেকে পরিত্রান পেতে হবে। অর্থ পরিশোধের মাধ্যমে অথবা মালিক থেকে ক্ষমা প্রর্থনার মাধ্যমে। এবং এ প্রসংগে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ ফারমান وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مِنْ أَمْرِهِ يُسْراً (যে বেক্তি আমার ভয়ে গোনাহ থেকে বাচার কোন রাস্তা অবলম্বন করে আমি তার সামনের চলা সহজ করে দেই) ।
উত্তর প্রদানঃঃ
মুফতি আসাদুজ্জামান দাঃবাঃ
মুহাদ্দিস, জামিয়া ইমদাদিয়া রশিদিয়া, খুলনা।
Leave a Reply